জীবনে অনেক ধরনের অপরাধী চক্রের খবর পড়েছেন, কিন্তু এই চক্রের খবর

অনেক ধরনের অপরাধী- তারা সংঘবদ্ধ চক্র। বেশভূষায় সাধারণের ভাব, সরলতার অভিনয় করে প্রতিনিয়ত। তারা ঘুরে বেড়ান সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে। সেখানে যাত্রী তোলেন, পুরুষ নয়, নারী যাত্রী তাও বেছে বেছে।

আগে থেকেই তাদের সেই সিএনজি অটোরিকশায় থাকে দু-তিনজন আর সেখানেই তোলা হয় নারীদের। এরপর কথার ছলে ভাব জমিয়ে সোনার বার বিক্রির লোভ দেখানো হয়।

এরপর সেই নকল বার নারীদের দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চম্পট দেয় প্রতারকরা। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই করে আসছিল তারা। অবশেষে নকল সোনাসহ সেই চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হল- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদ আলী গুলদার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ টিটু (৩০), কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার মজলিজপুর এলাকার মো. রাশেদের ছেলে মোহাম্মদ দেওয়ান (২০) ও বরগুনার বেতাগী থানার কালিকা বাড়ির হোসেন মুন্সীর ছেলে আফজাল হোসেন (৩৮)।

জানা যায়, সিরিশ কাগজ দিয়ে পিতল ঘষে সোনার বার সদৃশ করে ফেলতে পারে চক্রটি। পরে হাজারী গলির সোনার দোকানগুলো থেকে ২১ ও ২২ ক্যারেট লেখা সিল ১০০ টাকা দিয়ে কিনে এনে ওই নকল বারে মেরে দেয় তারা।

এরপর তারা রিকশাচালক বেশে ওই নকল সোনার বার যাত্রীদের কাছে বিক্রি করতো। এতে টাকা-পয়সা খুইয়ে নিঃস্ব হতে হচ্ছে সহজ-সরল যাত্রীদের।

সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, মোগলটুলী জাহাঙ্গীর মার্কেটের সামনে রাস্তায় নকল সোনার বারকে আসল সোনার বার হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে টিটু ও দেওয়ানকে ধরে ফেলে।

এই দু’জনের কাছ থেকে একটি নকল সোনার বার, একটি সোনার আংটি, এক জোড়া সোনার কানের দুল, একটি সোনার নাকফুল জব্দ করে পুলিশ।

এরপর ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আফজালকে গ্রেফতার করা হয়।

সেখান থেকে একটি বড় সোনার বার, দুটি ছোট নকল সোনার বার, এক জোড়া সোনার কানের দুল ও শ্রী জুয়েলার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আটটি মেমো উদ্ধার করা হ